এবার থেকে আর কলকাতার হাসপাতালগুলির উপর ভরসা নয়, মেদিনীপুরেই তৈরি হতে চলেছে ক্যাথল্যাব

আসমান ডেস্ক : অবশেষে দীর্ঘদিন পর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে তৈরি হতে চলেছে ক্যাথল্যাব। প্রস্তুত পর্ব চলছে জোরকদমে।জানা গেছে চলতি বছর নভেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ হবে এই নয়া ইউনিট তৈরির কাজ। এই ক্যাথল্যাব তৈরি হলে হার্টের সমস্যা নিয়ে আসা বহু রোগীদের হয়রানির হাত থেকে মুক্তি মিলবে বলেই মত চিকিত্সক মহলের।নয়া ইউনিট তৈরির ফলে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, বাইপাস সার্জারি, কার্ডিওথোরাসিক সার্জারির মতো হার্টের বহু জটিল অপারেশন সম্ভব হবে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই।

পুরুষদের জন্য ৫০টি এবং মহিলাদের জন্য ৫০টি বেডের ব্যবস্থাপনা নিয়ে কার্ডিওলজির একটি নয়া ইউনিট চালু হতে চলেছে এখানে।প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত হার্টের রোগ নিয়ে জেলা তো বটেই পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষদেরও ভরসা করতে হত কলকাতার হাসপাতালগুলির উপর। তবে এবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই নয়া ইউনিট চালু হলে পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি জেলার মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হবে বলেই জানাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান নির্মল মাঝি বলেন, ”দুই মেদিনীপুর ছাড়াও ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়খণ্ড-বিহারের মানুষ সহ কয়েক লাখ জনগণের চিকিৎসার প্রাণকেন্দ্র এটি। এখানে নবজাতকদের জন্য তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক ১০৪ বেডের একটি আলাদা ওয়ার্ড।এখানে প্রায় একশোর উপর ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের কাজ যুদ্ধকালীন তত্পরতায় চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখানে ব্রেন স্ট্রোকের ক্ষেত্রে চিকিত্সা এবং টেলি নিউরো মেডিসিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সেন বলেন, ”এই ক্যাথল্যাবটা দীর্ঘদিনের একটা প্রকল্প। এটি তৈরি হলে আমরা অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, বাইপাস সার্জারি সব কিছুই এই ক্যাথল্যাবে করতে পারব।এছাড়াও পেসমেকার বসানো, টেম্পুরারি পেসিং বা পার্মানেন্ট পেসিং, কার্ডিওলজির যে কোনও কাজই আমরা এই ল্যাবে করতে পারব। আমরা খুব তাড়াতাড়িই জেলার মানুষকে এই পরিষেবাটা দিতে পারব।”
