কীভাবে মাঙ্কিপক্সের হাত থেকে নিস্তার পাবে বিশ্ব! জানুন

আসমান ডেস্ক : বর্তমানে সারা বিশ্বে করোনার পর নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে মাঙ্কিপক্সকে নিয়ে।যদিও এর আগে বিশেষজ্ঞ মহল থেকে জানানো হয়েছিল মাঙ্কিপক্স করোনার মতো মহামারি আকার ধারণ করবে না।কিন্তু তাও বিষয়টি নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে গবেষক মহলে।


ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্সের ৭০০ টিরও বেশি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। মূলত সংক্রমিত ব্যক্তির পোশাক বা বিছানার চাদরের সংস্পর্শে এলে, ঘনিষ্ঠ শারীরিক যোগাযোগ হলে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ে।তাই বর্তমানে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ মোকাবেলায় মূল ব্যবস্থা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, ডব্লিউএইচওর একজন কর্মকর্তা ৫টি উপায়ের কথা বলেছেন। যে উপায় গুলি মেনে চললে মাঙ্কিপক্স মুক্ত হবে বিশ্ব।

◼প্রথম পদক্ষেপ হল মাঙ্কিপক্স সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং এটির উপর নজরদারি বাড়াতে হবে।
◼দ্বিতীয়, মাঙ্কিপক্সের দ্বারা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ বন্ধ করা । এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমরা এমন পরিস্থিতিতে আছি যেখানে আমরা প্রাথমিক সনাক্তকরণের জনস্বাস্থ্য সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করে সংক্রমণ আটকানো যেতে পারে। যেখানেই সংক্রমিত হচ্ছে তাদের সাথে কথা বলতে হবে । তারা অন্য ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন কিনা সেই বিষয়েও জানতে হবে।
◼তৃতীয় , প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ব্যবহার করা। যেখানে অ্যান্টিভাইরাল এবং ভ্যাকসিন রয়েছে, সেক্ষেত্রে তাদের জন্য উপযুক্তভাবে ব্যবহার করতে হবে যারা ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতিতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।
◼চতুর্থ, মাঙ্কিপক্স কী তা নিয়ে বোঝার অগ্রগতি করাই হল ওভারআর্চিং। তাই গবেষণা ও উন্নয়ন, গবেষণা, মহামারিবিদ্যা থেকে শুরু করে, ডায়াগনস্টিক, থেরাপিউটিক এবং ভ্যাকসিন সব কিছু নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি বড় বৈশ্বিক বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে।
◼পঞ্চমত,ফ্রন্টলাইন কর্মীদেরও সুরক্ষা দিতে হবে। সেখানে যে কেউ বাইরে আছেন, যারা পরীক্ষার জন্য নমুনা নিচ্ছেন বা ব্যক্তিদের যত্ন নিতে চান তাদেরকে যথাযথ ভাবে সাহায্য করতে হবে এবং তাদের সুরক্ষা প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি সংক্রমণ রোধ করতে পাল্টা সমস্ত রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
