জীবন সংগ্রামের এ লড়াই অনুপ্রাণিত করবে আপনাকেও

আসমান ডেস্ক : ব্যাঙ্কের সাফাই কর্মী থেকে সোজা অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার পদ-এই লম্বা সফর মোটেই সহজ ছিল না পুনের প্রতীক্ষা টন্ডওয়ালকারের জন্যে। তবে কথায় আছে ‘যারা কঠোর পরিশ্রম করে তারা কখনও হাল ছাড়ে না!’ লড়াই তা সে যতই কষ্ট করে হোক না কেন সেটাই লক্ষের দিকে পৌঁছে দেয়। এবার আরও একবার যেন একথাই প্রমাণিত হল।প্রতীক্ষা টন্ডওয়ালকারের জীবন সংগ্রামের লড়াই অনুপ্রাণিত করবে আপনাকেও।

অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন প্রতীক্ষা।ফলে ছোট থেকেই কষ্টের শুরু। পারিবারিক অবস্থাও মোটেও ভালো ছিল না। বাড়ির অবস্থা বিশেষ না থাকায় মাত্র ৭ম শ্রেণী পর্যন্তই পড়াশুনা হয় তাঁর। ফলে সংসারের চাপে মাত্র ১৭ বছর বয়সেই বিয়ে করে নিতে হয় প্রতীক্ষাকে। স্বামী স্থানীয় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে বিল্ডারের কাজ করতেন। কাজ করতে করতেই মৃত্যু হয় স্বামীর।কার্যত সেটাই প্রতীক্ষার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।


স্বামীর মৃত্যুর পর সম্পূর্ণ একা। সামনে যে বড় লড়াই সেটা বুঝতে পারেন পুনের এই মেয়ে। আর তাই ভয় না পেয়ে SBI ব্যাঙ্কে ঝাড়ুদারের কাজ শুরু করে দেন তিনি। কিন্তু চাকরি পেলেও তা ছিল অস্থায়ী। যে কোনও মুহূর্তে চাকরি চলে যাওয়ার ভয় ছিল। আর সেই ভয় থেকেই ফের একবার পড়াশুনা শুরু করা। দিনরাত কাজের ফাঁকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতেন।এভবেই ক্লাস ১০-এর পরীক্ষাতেও বসে সে। রেজাল্ট বের হতেই সবাই চমকে যান। এরপর স্কুল থেকে কলেজে গেলেন। আর সেখান থেকে গ্র্যাজুয়েশন পাশ। আর তা পাশ করতেই পদন্নোতি।

স্টেট ব্যাঙ্কেই কেরানির পদে চাকরি পান। এরপরেই ব্যাঙ্কের পরীক্ষায় বসেই ফের চমক দেখান প্রতীক্ষা। প্রথম চেষ্টাতেই ট্রেনি অফিসার। এরপর যদিও আর পিছনে তাকাতে হয়নি প্রতীক্ষাকে। এরপরেই সে ডিগ্রি পায়। খুব শীঘ্রই সে অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার পদ পাবেন বলে জানা যাচ্ছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মুম্বই শাখাতে প্রতীক্ষার পোস্টিং হওয়ার কথা রয়েছে। একজন ঝাড়ুদার থেকে একজন ব্যাঙ্কের এত বড় পোস্টে যাওয়া সত্যিই অনুপ্রেরণা দেয়।
