প্রশাসনিকভাবে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু পঞ্চায়েত দফতরের

আসমান ডেস্ক : রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট।এর মধ্যেই প্রশাসনিকভাবে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিল পঞ্চায়েত দফতর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকে ইঙ্গিত দিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোট দ্রুত হতে চলেছে।যদিও রাজ্যের শাসকদল ২০২৩-এর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ভোট করার প্রস্তাব নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে।তার প্রস্তুতিও এক প্রকার নিতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসকদল। তারই প্রথম ধাপ হিসেবে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষদের বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজ শুরু হয়ে গেছে।

সরকারি নথিভুক্ত তফসিলি জাতি ও উপজাতি মানুষই এই অনগ্রসর তালিকাভুক্ত। যার ভিত্তিতে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংরক্ষণ করা হবে। কারণ প্রতিটি বুথই এক একটি গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনী কেন্দ্র।রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি জেলাকে এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একাধিকবার এই বিষয় নিয়ে বৈঠক হয়েছে।


রাজ্য নির্বাচন কমিশনও এই বিষয় নিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরকে চিঠি দিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এই সমীক্ষার ভিত্তিতেই গ্রাম পঞ্চায়েত আসনগুলি সংরক্ষণ করা হবে।পঞ্চায়েত ও গ্রামান্নোয়ন দফতর থেকে জেলাশাসকদের জনসংখ্যার নিরীখে সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে। ৮ অগাস্ট থেকে বিডিওর নেতৃত্বে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই সমীক্ষা শুরু হবে। পাশাপাশি এই সমীক্ষার জন্য প্রতিটি জেলার দুজন অফিসারকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। সেটা হবে ভার্চুয়ালি। ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত এই সমীক্ষা চলবে। ২০ অগাস্ট খসড়া প্রকাশ করা হবে।

২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে। যে সব বুথে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষের বাস, সেই গ্রাম পঞ্চায়েত কেন্দ্র সংরক্ষণ করা হবে।এই সমীক্ষা চালাতে সোমবার থেকেই জেলা স্তরে প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করার পরই পঞ্চায়েত নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে ফেলা হবে বলে মনে করা হচ্ছে । আর তাই এই নির্দেশিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
