বিনা পারিশ্রমিকেই Dr Ambedkar Society র উদ্যোগে শুরু করা হয়েছে ১১ টাকার টিউশন

আসমান ডেস্ক : বাবা-মায়ের অক্ষর জ্ঞানটুকুও নেই। অনেকেই নিজের সইটাও করতে পারেন না। কিন্তু ছেলেমেয়েদের আর এই অবস্থায় দেখতে চান না। বরঞ্চ চান, তারা লেখাপড়া শিখে নিজেদের পায়ে দাঁড়াক। তাই ছেলেমেয়েদের তাঁরা স্কুলে ভর্তি করেছিলেন। কিন্তু বাধ সাধলো কোভিড। তার জেরে প্রায় দুই বছর স্কুল বন্ধ। ছেলেমেয়েরা যেটুকু শিখেছিল সেটাও ভুলতে বসেছিল। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে ’১১ টাকার টিউশন’।

টিউশন ফি না দিতে পারায় ওরা পড়বে না, সে হয় না।তাই বিনা পারিশ্রমিকেই Dr Ambedkar Society র উদ্যোগে শুরু করা হয়েছিল ১১ টাকার টিউশন।কিন্তু সেখানেও আপত্তি। বিনামূল্যে ছেলেমেয়েদের পড়াতে চান না লোধা শবর পরিবারের মানুষেরা। শেষে ঠিক হয় মাসিক ১১টাকার বিনিময়ে এই পাঠশালা চলবে। সেই থেকেই নাম ’১১ টাকার টিউশন’। প্রতি সপ্তাহে সোম থেকে শনি প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে সেই টিউশনের ক্লাস। প্রতি রবিবার দাবা, আঁকা, নাচ, গানের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। আগে এই পাঠাশালায় পড়ুয়া কম থাকলেও এখন তা বেড়ে কার্যত ১০০ ছুঁই ছুঁই করছে।


ছোট ছোট শিশুদের শৈশব যাতে হারিয়ে না যায়, সেই লক্ষ্যে শুরু করা হয়েছে ১১ টাকার টিউশন। মেদিনীপুর শহর থেকে প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে ঈশ্বরপুর খয়েরুল্লা গোলাপীচক এলাকায় এই টিউশন পড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন সোসাইটির সদস্য সদস্যারা। এই উদ্যোগে যেমন সামিল হয়েছেন বেশকিছু শিক্ষক শিক্ষিকা, তেমনই সামিল হয়েছেন বেশকিছু কলেজ পড়ুয়ারাও।

কারণ তাঁরা মনে করেন, শিক্ষা শুধু অধিকার নয় অঙ্গীকারও বটে। আগামী দিনে ১১ টাকার টিউশন যথাসম্ভব চলবে, পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার ইচ্ছে ও অধিকার বজায় রাখতে সাহায্য করবে। সংগঠনের পক্ষ থেকে পঞ্চম শ্রেণি থেকে কম্পিটিটিভ পরীক্ষার বই বা সহায়িকা দিয়ে সাহায্য করার সাথে সাথে দুঃস্থ মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে আগামীদিনে সাহায্য করবে বলেও জানানো হয়।
