লাখ টাকা না দিলে গাঁজা-কেসে ফাঁসবেন স্বামী, মাথায় হাত আজমিরার

আসমান টিভি ডেস্ক: লাখ টাকা না দিলে গাঁজা-কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। এভাবেই ব্ল্যাকমেল করা হল বাগদার হরিহরপুরের বাসিন্দা আজমিরা মণ্ডল ও তাঁর ছেলে জসিমুদ্দিন মণ্ডলকে। আরও অভিযোগ, এক লক্ষ টাকা দেওয়ার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি।

ঘটনা বাগদার। আজমিরা মণ্ডলের অভিযোগ, গত ১৭ এপ্রিল রাতে বাগদা থানার পুলিশ বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্বামী আতিয়ার মণ্ডলকে তুলে নিয়ে যায় কোনও কারণ ছাড়াই। পরদিন ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় নাসির বিশ্বাস নামে এক যুবকের কাছে সাহায্য চাইতে যান। নাসির আবার তাঁদের নিয়ে যায় বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়ের কাছে। জসিমুদ্দিন মণ্ডল জানান, বাবাকে ছাড়াতে হলে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। নয়তো ‘গাঁজা কেস’-এ মামলা রুজু করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।


জসিমউদ্দিনের কথায়, ‘‘আমরা গরিব। অত টাকা কোথায় পাব? তবুও আমি বাড়িতে যা সোনার গয়না ছিল, সব বন্ধক রেখে নাসির এবং গোপার হাতে মোট এক লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। তা-ও পুলিশ বাবাকে ছাড়েনি। উপরন্তু মারধর করে ডাকাতির মামলা রুজু করেছে বাবার বিরুদ্ধে। আবার ওরা এখন বলছে, ‘আরও ৩০ হাজার টাকা লাগবে।’

বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের বক্তব্য, ‘দলটাই কাটমানির দল।’ যদিও তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গোপাল শেঠ জানিয়েছেন, তৃণমূল শৃঙ্খলপরায়ণ দল। তিনি অভিযোগ পাওয়ামাত্র দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে বিষয়টি লিখিত আকারে জানিয়েছেন। তাঁরাই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। এদিকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়।
