জিটিএ নির্বাচন চায় না গোর্খা জনমুক্তি, আমরণ অনশনে গুরুং

আসমান ডেস্ক: সর্বদলীয় বৈঠকের পর ঘোষণা হয়েছে জিটিএ (গোর্খা টিউটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) নির্বাচনের দিনক্ষণ। ‘নির্বাচন মানি না’ এই বলে আমরণ অনশনে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সর্বাধিনায়ক বিমল গুরুং।

বুধবার সকালে সদলবলে সিংমারি দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনশনে বসেন বিমল গুরুং। তার দাবি, ‘রাজ্য সরকারকে যে যে প্রস্তাব দিয়েছিলাম তার একটাতেও সাড়া মেলেনি। ফলে জিটিএ নির্বাচনে আমি এবং আমার দল অংশ নেব না।’ তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি জনসমর্থন হারিয়েছে বিমল, নির্বাচনে তার অনশনের কোনও প্রভাব পড়বে না।

নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার পাহাড়ের সব দলকে নিয়ে বৈঠক করে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিমল এবং তার দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (জিজেএম)। কিন্তু ভোটের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন বিমল। তবে তার একার বিরোধিতায় সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হয়নি কমিশনের। আগামী ২৬ জুন পাহাড়ে নির্বাচনের দিন চূড়ান্ত হয়। ফলত বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে নির্বাচনের প্রস্তুতি। ভোটের ফল ঘোষণা হবে ২৯ জুন। মনোনয়ন পেশ করতে হবে ২৭ মে’র মধ্যে।


মঙ্গলবার নির্বাচন ঘোষণার পর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিমল। প্রয়োজনে বসতে পারেন আমরণ অনশনে। সেই হুঁশিয়ারিকে বুধবার বাস্তবায়িত করলেন গুরুং। অস্থায়ী মঞ্চ বেঁধে শুরু করলেন অনশন। বুধবার অনশন মঞ্চ থেকে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘গোর্খা জাতির জন্য সবকিছু খুঁইয়েছি। বাকি আছে কেবল প্রাণ। সেটুকুও লুটিয়ে দেব।’ জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা কেন করছেন? সে প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘রাজ্য সরকারকে যে প্রস্তাব দিয়েছিলাম তার একটাও মানা হয়নি। ৩৯৬ মৌজার প্রস্তাবও খারিজ করেছে রাজ্য সরকার। এমন অবস্থায় আমরা নির্বাচন মানি না।’

জিটিএ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’রকম মনোভাব দেখা যায় পাহাড়ের দলগুলোর মধ্যে। কোনও দল চাইছে নির্বাচন হোক। কোনও দল আবার জিটিএ’র সম্পূর্ণ স্বাধীনতা চেয়ে সমর্থন জানিয়েছে জিজেএম এর দাবিকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিমল জনসমর্থন হারিয়েছে। ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না তার অনশনের।
২১-এর নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছিল জিজেএম। দাবি ছিল উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য ঘোষণার। কিন্তু বিমলের সে দাবিকে মান্যতা দেয়নি কেন্দ্র সরকার। আপাতত কেন্দ্রের সঙ্গে সেই সখ্যতা নেই জিজেএম-এর। আগামীতে ২৪ এবং ২৬ এর ভোটে তারা থাকতে চাইছে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বদান্যতায়
