বারাণসীতে অযোধ্যার ছায়া, সুপ্রিম কোর্টে জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি

আসমান ডেস্ক: পাঁচ হিন্দু মহিলার দায়ের করা মামলার শুনানিতে বারাণসি জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষা চালাবে বিশেষ দল। এমন রায়ই দিয়েছিল বারাণসী নিম্ন আদালত। সমীক্ষায় স্থগিতাদেশ চেয়ে তড়িঘড়ি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মসজিদ কমিটি।
ঘটনার সূত্রপাত জ্ঞানবাপী মসজিদ লাগোয়া শৃঙ্গারগৌরী মন্দিরকে কেন্দ্র করে। যেখানে বছরে একবার পুজোর অনুমতি মেলে। পাঁচ মহিলা এই মন্দিরে সারাবছর পুজো করার অধিকার চেয়ে মামলা করে বারানসী নিম্ন আদালতে। শুনানিতে নিম্ন আদালত রায় দেয়, সমীক্ষা করে দেখা হবে। তার জন্য একটি বিশেষ দল গঠিত করা হয়। ১৭ই মে’র মধ্যে সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেয় আদালত। এখানেই আপত্তি জ্ঞানবাপী মসজিদ কর্তৃপক্ষের। মসজিদের মধ্যে কোনও সমীক্ষা তারা চায় না। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এমভি রামানার বেঞ্চ জানায়, ‘বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানিনা। আপনারা মামলা করুন, আমরা দ্রুত শুনবো।‘
গোটা ঘটনায় বিজেপির চক্রান্ত দেখছে অনেকে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, অযোধ্যার পুনরাবৃত্তি বারাণসীতে হবে না তো। যেভাবে বাবরি মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তেমনটাই কি এবার হতে চলেছে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে। এ বিষয়ে একটি টিভি সাক্ষাৎকারে মিম সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ‘বাবরি মসজিদ হারিয়ে আমরা কেবল হাত পোড়াইনি, পুড়িয়েছি আমাদের আত্মাকে। আমরা আর কোনও মসজিদ হারাতে চাইনা।‘
মসজিদ কমিটির আইনজীবী হাফেজা আহমেদি সংবিধানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইনের ৪নং ধারায় বলা আছে, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট-এর পর যে উপাসনাস্থল যে স্থানে যে অবস্থায় ছিল, সে অবস্থাতেই বহাল থাকবে। তিনি সরাসরি না বললেও বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন সংবিধানকেই অমান্য করা হচ্ছে এ দেশে।
শুক্রবার এক টিভি সঞ্চালক আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘কোনদিকে চলেছে দেশ? বিজেপি কোন দিকে নিয়ে যেতে চাইছে দেশকে?’ তিনি দাবি করেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেয়নি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস, কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদান রেখেছে বহু মুসলমান। এদিন ওয়াইসি জানান, প্রয়োজন হলে মসজিদ কমিটির পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে যাবে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডও।
